মেহেদী ডিজাইন সিম্পল এবং ইজি খুঁজছেন? আমাদের নতুন ডিজাইনগুলো দেখুন। এগুলো খুব সহজ আর আকর্ষণীয়। যে কেউ নিজে লাগাতে পারবে। হাত হবে দারুণ সুন্দর। এখনই সেরা ডিজাইনটি বেছে নিন।
আপনারা সবাই ভালো আছেন? উৎসবে মেহেদী দিতে আমার খুব ভালো লাগে। ঈদ বা বিয়ে, হাতে মেহেদী না দিলে ভালোই লাগে না। কিন্তু অনেকে কঠিন ডিজাইন দেখে ভয় পান। তাই আজ আমি আপনাদের সহজ মেহেদী ডিজাইনের জন্য পাঁচটি ভালো জায়গার কথা বলব।
১. নতুনদের জন্য সহজ মেহেদী ডিজাইন
আমি যখন প্রথম মেহেদী দিতাম, একটি ওয়েবসাইট আমাকে খুব সাহায্য করেছিল। এর নাম “Simple Mehndi Design”। এখানকার ডিজাইনগুলো খুব সহজ। আমার মতো নতুনরাও সহজে আঁকতে পারবে। এখানকার ডিজাইনগুলো নতুনদের জন্যই বানানো।
এই সাইটে গেলে আপনারা অনেক রকম ডিজাইন পাবেন। ডিজাইন পছন্দ করা খুব সহজ হবে। প্রতিটি ডিজাইনের সাথে পরিষ্কার ছবি আছে। ছবি দেখে আমি সহজে আঁকা শিখেছিলাম। আপনারাও এই সাইটটি দেখতে পারেন।
আমার এই সাইটটি খুব ভালো লেগেছিল। কারণ এটি ব্যবহার করা সহজ ছিল। আমি দ্রুত ডিজাইন খুঁজে পেতাম। আপনারা আঙুল বা হাতের জন্য আলাদা ডিজাইন পাবেন। সহজ ডিজাইনের জন্য এটি আমার প্রথম পছন্দ।
ডিজাইনের নাম | কখন দেবেন | কত সময় লাগে |
আঙুলের ডিজাইন | সাধারণ দিনে | ১০-১৫ মিনিট |
ছোট ফুল | জন্মদিনে | ২০-২৫ মিনিট |
কলকা | ঈদ বা পূজায় | ৩০-৪০ মিনিট |
২. ভিডিও দেখে সহজ মেহেদী ডিজাইন শেখা
হাতে কলমে মেহেদী শিখতে আমি ইউটিউব দেখি। এখানে হাজার হাজার চ্যানেল আছে। সেখানে ভিডিওতে সহজ করে ডিজাইন শেখায়। আমি “Daily Henna” ও “Mehndi Designs by RKS” চ্যানেল থেকে অনেক ডিজাইন শিখেছি।
এই চ্যানেলগুলোতে সব ধরনের সহজ মেহেদী ডিজাইন আছে। আগে আমার আঙুলের ডিজাইন ভালো হতো না। কিন্তু ভিডিও দেখে এখন আমি ভালো আঁকতে পারি। তাই ছবি না দেখে ভিডিও থেকে শিখুন। তাহলে আরও দ্রুত শিখতে পারবেন।
ইউটিউবের একটি বড় সুবিধা আছে। আপনি ভিডিও থামাতে পারেন। আবার ধীরেও দেখতে পারেন। এতে কঠিন ডিজাইনও সহজ মনে হয়। যারা আমার মতো দেখে শিখতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য ইউটিউবই সেরা।
৩. নতুন ভাবনার জন্য সহজ মেহেদী ডিজাইন
নতুন কোনো ডিজাইন চাইলে আমি পিন্টারেস্ট (Pinterest) দেখি। আপনারা এখানে “মেহেদী ডিজাইন সিম্পল এবং ইজি” লিখে খুঁজলে অনেক ছবি পাবেন। আমি বেশিরভাগ নতুন ভাবনা এখান থেকেই নিই।
এখানকার ছবিগুলো খুব পরিষ্কার। তাই ডিজাইনের ছোট অংশও ভালো করে বোঝা যায়। আমি পছন্দের ডিজাইনগুলো নিজের বোর্ডে সেভ করে রাখি। এতে পরে ডিজাইন খুঁজে পেতে সুবিধা হয়। এটি আমার সময় বাঁচায়।
যারা নতুন ডিজাইন খোঁজেন, তাদের পিন্টারেস্ট দেখতে বলি। এখানে অনেক ডিজাইনারের কাজ দেখা যায়। তাদের কাজ দেখে নতুন কিছু ভাবা যায়। নতুন ভাবনার জন্য পিন্টারেস্টের মতো ভালো জায়গা আর নেই।
৪. পুরোনো ও নতুন ছোঁয়ার মেহেদী ডিজাইন সিম্পল এবং ইজি
বিয়ে বা বড় অনুষ্ঠানে সুন্দর কিন্তু সহজ ডিজাইন লাগে। আমি দেখেছি “WeddingBazaar” এর মতো সাইটে এমন অনেক ডিজাইন আছে। এখানে পুরোনো ও নতুন ডিজাইনের সুন্দর মিল দেখা যায়। এটি আপনাকে আরও সুন্দর করে তুলবে।
এসব সাইটে বড় শিল্পীদের কাজ থাকে। কিন্তু আপনারা ভয় পাবেন না। এর মধ্যে অনেক সহজ ডিজাইনও থাকে। আমি নিজেও এখান থেকে আইডিয়া নিয়েছি। আপনারা বাড়িতেই এই ডিজাইনগুলো করতে পারবেন।
এখান থেকে ডিজাইন বেছে নিলে আপনাকে দেখতে ভালো লাগবে। এটা আমি বলতে পারি। তাই যারা একটু নতুন কিছু চান, তারা এই সাইটগুলো দেখতে পারেন। এখানকার ডিজাইন আপনার হাতের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেবে।

৫. গাঢ় রঙের জন্য সহজ মেহেদী ডিজাইন
মেহেদীর রঙ গাঢ় হওয়া খুব জরুরি, তাই না? আমার বোনের বিয়েতে আমি তার হাতে মেহেদী দিই। রঙ গাঢ় করতে কিছু নিয়ম মেনেছিলাম। “StyleCraze” এর মতো বিউটি ব্লগে আপনারা এমন অনেক নিয়ম জানতে পারবেন।
এই ব্লগগুলো থেকে মেহেদীর রঙ গাঢ় করার উপায় জানা যায়। আমি লেবু ও চিনির রস ব্যবহার করেছিলাম। মেহেদী তুলে হাতে সরিষার তেল লাগিয়েছিলাম। এতে রঙ এত গাঢ় হয়েছিল যে সবাই খুব প্রশংসা করেছিল!
সঠিক নিয়ম জানলে আপনার সাধারণ ডিজাইনও সুন্দর লাগবে। তাই ডিজাইনের পাশাপাশি এর যত্নও নিন। আমার এই অভিজ্ঞতা আপনাদেরও সাহায্য করবে।
মেহেদীর যত্ন | আমি যা করি | কী ফল পাই |
লাগানোর আগে | সাবান দিয়ে হাত ধুই | রঙ ভালো বসে |
শুকানোর সময় | লেবু-চিনির রস দিই | রঙ খুব গাঢ় হয় |
তোলার পরে | সরিষার তেল মাখি | রঙ অনেক দিন থাকে |
৬. নতুনদের জন্য আমার সহজ টিপস
নতুনদের কাছে মেহেদী আঁকা কঠিন লাগতে পারে। এটা খুবই সাধারণ ব্যাপার। আমি কিছু নিয়ম মানার ফলে কাজটা সহজ করতে পেরেছিলাম। আমি প্রথমে কাগজে পেন্সিল দিয়ে ডিজাইন আঁকতাম। আপনারাও এটা করে দেখতে পারেন।
আমি প্রথমে ছোট ছোট জিনিস আঁকতাম। যেমন ফুল, পাতা বা ছোট কলকা। একবারে বড় ডিজাইন আঁকতে যেতাম না। ছোট ছোট অংশ মিলিয়ে একটি বড় ডিজাইন বানাতাম। এতে আমার কাজ আরও ভালো হতো।
সবসময় ভালো মেহেদী কোণ ব্যবহার করবেন। এতে ডিজাইন সুন্দর হয়। তাড়াহুড়ো করবেন না। ধৈর্য ধরে আঁকুন। মনে রাখবেন, আমার মতো আপনারাও চেষ্টা করলেই ভালো আঁকতে পারবেন।
৭. সব অনুষ্ঠানের জন্য সহজ মেহেদী ডিজাইন
সহজ মেহেদী ডিজাইনের একটি বড় সুবিধা আছে। এটি যেকোনো অনুষ্ঠানের সাথে মানিয়ে যায়। অফিসের পার্টি বা বন্ধুর হলুদ, সব জায়গায় এমন ডিজাইন ভালো লাগে। আপনাকে শুধু অনুষ্ঠান বুঝে ডিজাইন পছন্দ করতে হবে।
ছোট ও হালকা ডিজাইন যেকোনো পোশাকের সাথে ভালো লাগে। আমি যখন ওয়েস্টার্ন পোশাক পরি, তখন আঙুলে ছোট ডিজাইন দিই। এটা দেখতে খুব আধুনিক লাগে।
আবার, শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজের সাথে একটু ভরা ডিজাইন বেছে নিই। তাই আপনারাও পরের অনুষ্ঠানের জন্য সহজ মেহেদী ডিজাইন বেছে নিন। এটি আপনাকে দেখতে আরও সুন্দর করে তুলবে।

৮. আমার পছন্দের হালকা মেহেদী ডিজাইন
আপনারা হয়তো দেখেছেন, এখন অল্প সাজের খুব চল হয়েছে। আমারও ব্যক্তিগতভাবে এই হালকা ডিজাইনগুলো খুব ভালো লাগে। এক বা দুটি আঙুলে হালকা ডিজাইন এখন আমার কাছে খুব সুন্দর লাগে।
এই ধরনের ডিজাইন দেখতে খুব ভালো। এটি করতেও খুব কম সময় লাগে। যারা বেশি সাজতে চান না কিন্তু মেহেদী দিতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য এটা সেরা। এই ডিজাইনগুলো হাতে একটি সুন্দর ভাব এনে দেয়।
হালকা ডিজাইন আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। কারণ এটি আপনার রুচি দেখায়। তাই পরেরবার মেহেদী দেওয়ার সময় আমার পছন্দের এই ডিজাইন চেষ্টা করতে পারেন। একটি ছোট ডিজাইনও যে কত সুন্দর হয়, তা দেখে আপনি অবাক হবেন।
৯. সহজ ডিজাইনকে সুন্দর করার উপায়
আপনার সাধারণ মেহেদী ডিজাইন আরও সুন্দর করতে চান? আমি মাঝে মাঝে এর জন্য গ্লিটার বা ছোট স্টোন ব্যবহার করি। গত ঈদের পার্টিতে আমি আমার ডিজাইনে সোনালী গ্লিটার লাগিয়েছিলাম। এতে আমার সাজ একদম বদলে গিয়েছিল।
বাজারে অনেক রঙের গ্লিটার পাওয়া যায়। এগুলো ত্বকের জন্য নিরাপদ। আপনি পোশাকের রঙের সাথে মিলিয়ে গ্লিটার কিনতে পারেন। এটি আপনার সাধারণ ডিজাইনকেও অনেক সুন্দর করে তুলবে।
গ্লিটার ছাড়াও ছোট আঠালো স্টোন ব্যবহার করা যায়। আমি দেখেছি, এগুলো ব্যবহার করলেও খুব সুন্দর লাগে। বিশেষ করে বড় কোনো অনুষ্ঠানে এই সাজ খুব ভালো মানায়। তাই সহজ ডিজাইনকে নতুন রূপ দিতে আমার এই নিয়মগুলো মেনে চলুন।

১০. আপনার হাতের জন্য সেরা সহজ মেহেদী ডিজাইন
আমি দেখেছি, সবার হাতের গড়ন একরকম হয় না। তাই সব ডিজাইন সবার হাতে ভালো লাগে না। আপনার হাতের গড়ন অনুযায়ী ডিজাইন বেছে নেওয়া জরুরি। যদি আপনার আঙুল আমার মতো লম্বা হয়, তবে ভরা ডিজাইন ভালো লাগবে।
যাদের হাতের পাতা একটু চওড়া, তারা গোল ডিজাইন নিতে পারেন। এটি আপনার হাতকে দেখতে ছোট দেখাতে সাহায্য করবে। বিশ্বাস করুন, সঠিক ডিজাইন আপনার হাতের সৌন্দর্য অনেক বাড়িয়ে দেবে।
শেষে আমি একটি কথাই বলব। যে ডিজাইনটি আপনার নিজের ভালো লাগে, সেটিই আপনার জন্য সেরা। উপরের সাইটগুলো থেকে নতুন ভাবনা নিন। নিজের মতো করে আপনার হাতের জন্য সেরা সহজ মেহেদী ডিজাইনটি তৈরি করুন।
উপসংহার
মেহেদী পরা একটি সুন্দর শিল্প। এর জন্য আপনাকে বড় শিল্পী হতে হবে না। এই কথাটি আমি সবসময় বিশ্বাস করি। আমার এই ব্লগের কথাগুলো আপনাদের সাহায্য করবে। আপনারা নিজের হাতেই সুন্দর ডিজাইন করতে পারবেন। সহজ মেহেদী ডিজাইন খুঁজে পেতে এই লেখাটি পড়ুন এবং সবাইকে মুগ্ধ করুন।
সারসংক্ষেপ
এই ব্লগে আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে সহজ মেহেদী ডিজাইনের জন্য পাঁচটি জায়গার কথা বলেছি। ইউটিউব ও পিন্টারেস্ট থেকে কীভাবে সহজ ডিজাইন খুঁজে পাবেন তা বলেছি। এছাড়াও, মেহেদীর রঙ গাঢ় করার উপায় ও ডিজাইনকে আরও সুন্দর করার নিয়মও আপনাদের জানিয়েছি।
FAQs
সহজ মেহেদী ডিজাইন করতে কত সময় লাগে?
একটি সহজ ডিজাইন করতে আমার সাধারণত ১৫ থেকে ৩০ মিনিট লাগে।
মেহেদীর রঙ কীভাবে গাঢ় করব?
আমার মতে, মেহেদী তুলে হাতে সরিষার তেল দিলে এবং লেবু-চিনির রস লাগালে রঙ সবচেয়ে গাঢ় হয়।
নতুনদের জন্য কোন ডিজাইন ভালো?
আমি মনে করি, নতুনদের জন্য ছোট ফুল, আঙুলের ডিজাইন বা একপাশের লতা সবচেয়ে সহজ ও সুন্দর।
এই ব্লগ পোস্টটি আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে লেখা। এখানে বলা কথাগুলো সবার জন্য একভাবে কাজ নাও করতে পারে। যেকোনো নতুন জিনিস ত্বকে ব্যবহারের আগে অল্প করে পরীক্ষা করে নেবেন।